সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য সবাই বড় বড় কথা বলে, কিন্তু আমরা কি আসলেই সেইসব মেনে চলি? আজকে এমন ৭টা অভ্যাস বলবো, যেগুলো মেনে চললে শুধু ফিট না, জীবনও মজা হয়ে যাবে!
১. সকালে ঘুম থেকে ওঠা – যুদ্ধ জয়ের চেয়েও কঠিন
সকাল ৫টায় ওঠার উপদেশ সবাই দেয়, কিন্তু যেই মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠতে যাবো, তখন মনে হয়, “আরেকটু ঘুমালে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে?” কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, যারা সকালে ওঠে, তারা সারাদিন বেশি এনার্জেটিক থাকে। একবার উঠে দেখুন, পাখির ডাক শুনতে পাবেন, বাচ্চারা স্কুলে যেতে কাঁদছে দেখবেন, আর আপনার ফ্রিজে রাতের বাসি খাবার ছাড়া কিছু নেই, সেটাও বুঝতে পারবেন!
২. পর্যাপ্ত পানি পান – যেন জলের খেলা
সবাই বলে, দিনে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। কিন্তু আমরা কেবল পানি খেতে চাই তখন, যখন বুঝতে পারি গলা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে! নিজেকে কল্পনা করুন—আপনি যদি একটা ফিল্টার হয়ে যান, তাহলে কতবার পানি খেতেন? পানির গুরুত্ব বুঝতে হলে একদিন পানি ছাড়া থাকুন, দেখবেন, আপনার মুখের স্কিন থেকে শুরু করে মেজাজ পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে!
৩. হালকা ব্যায়াম – শরীর নাড়লে মনও নাচবে
ব্যায়াম করতে গেলে আমরা সবাই নতুন নতুন বাহানা বের করি—“কাল থেকে শুরু করবো”, “আজ ঠান্ডা লাগছে”, “জুতোটা তো এখনও আনিনি!” কিন্তু সত্যি কথা হলো, যদি আপনি প্রতিদিন একটু হাঁটাহাঁটি, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করেন, তাহলে শুধু ফিট না, মনও ফুরফুরে থাকবে। বিশ্বাস না হলে একবার সকালে দৌড়াতে যান, ১০ মিনিট পর বুঝতে পারবেন, আপনি দৌড়াচ্ছেন না, জীবন থেকে পালাচ্ছেন!
৪. স্বাস্থ্যকর খাবার – তেলে ভাজা স্বপ্নের শেষ
সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে—এই কথা শুনলেই মনে হয়, “এতদিন বেঁচে ছিলাম কি ভুল করলাম?” কিন্তু আসলেই স্বাস্থ্যকর খাবার মানে শুধু স্যালাড না, বরং ব্যালান্সড ডায়েট। আর হ্যাঁ, মাঝে মাঝে বিরিয়ানি বা ফাস্টফুড খেতে পারবেন, তবে শর্ত একটাই—পেটে জায়গা রাখবেন, যাতে পরে হজমের ওষুধ না খেতে হয়!
৫. মানসিক চাপ কমানো – “টেনশন নেওয়া নিষেধ” সাইনবোর্ড লাগান
মানসিক চাপ কমানো বলতে আমরা বুঝি, “ভালো থাকুন, হাসুন, সুখী হোন!” কিন্তু বাস্তবে অফিসের বস, পড়াশোনার চাপ, সংসারের খরচ এগুলো সব মিলিয়ে মনে হয়, দুনিয়া আমাদের বিরুদ্ধেই কাজ করছে। তাই হাসি-তামাশা, গান শোনা, বই পড়া, এসব ছোট ছোট জিনিস করলে মুড ভালো থাকে। আর যদি কিছুতেই কাজ না হয়, তাহলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখের এক্সপ্রেশন দেখে হাসার চেষ্টা করুন!
৬. পর্যাপ্ত ঘুম – ৮ ঘণ্টার বদলে ৮ মিনিট হলেও চলবে
ঘুম শরীরের জন্য কতটা জরুরি, সেটা বোঝা যায় তখন, যখন অফিস মিটিংয়ে বসে চোখ বন্ধ হয়ে আসে! অনেকেই ভাবে, “কম ঘুমালেও চলবে” কিন্তু একদিন ঠিকঠাক ঘুমিয়ে সকালে উঠে দেখুন, আপনার মাথা আরেকটু বেশি কাজ করছে, চেহারাও ফ্রেশ লাগছে, এমনকি জীবনটাও একটু সহজ মনে হচ্ছে! তাই রাত ১২টার পরে “আরেকটা ভিডিও দেখি” বলে দেরি না করে ঘুমিয়ে পড়ুন।
৭. ইতিবাচক মনোভাব – জীবনটা সিরিয়াসলি নিলে, মজা কমে যাবে
সবাই সুখী হতে চায়, কিন্তু কেউই হাসিমুখে সব কিছু গ্রহণ করতে চায় না। প্রতিদিন একটু ইতিবাচক চিন্তা করুন, মজার কিছু দেখুন, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। দেখবেন, জীবন শুধু সহজ না, আনন্দদায়কও হয়ে গেছে।
শেষ কথা
এই ৭টা অভ্যাস শুধু ফিট থাকার জন্য না, জীবনের আনন্দ বাড়ানোর জন্যও দরকার! তাই আজ থেকেই শুরু করুন—অবশ্যই কাল থেকে না, আজ থেকেই!
TAGGED: